আইনুল হক হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি

23rd February 2021 7:21 pm বর্ধমান
আইনুল হক হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : দোড়গোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন । যে কোনো সময় দল প্রার্থীর নাম ঘোষনা করবে । দিন ঘোষনা করবে নির্বাচন কমিশন । এই সময়ে দাঁড়িয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্ৰেস এর সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পেলেন বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি আইনুল হক । জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ লিখিতভাবে দায়িত্ব ভার দিয়েছেন আইনুল হককে । বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এর কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন আইনুল হক ( বাম প্রার্থী ) । নানা ঘটনা প্রবাহে আইনুল হক বিজেপি শিবির হয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে । যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের একাংশের ক্ষোভ তার উপর । বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন এমসিআইসি খোকন দাস প্রকাশ‍্যে দাঁড়িয়ে আইনুল হক এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন । " রাজনীতি ছেড়ে দেবো তবু আইনুল হককে নেতা মানবো না " বলে হুঁশিয়ারী ও দিয়েছিলেন তিনি । খোকন দাস ছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এর ছায়াসঙ্গী । তৃণমূলের জেলা সম্পাদক পদেও রয়েছেন তিনি । কিন্তু এবার দল সেই আইনুল হককেই সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে । বিধানসভা ভোট ও পরবর্তী সময়ে বর্ধমান পৌরসভা ভোট রয়েছে । আইনুল হক পরবর্তী সময়ে আরো কোনো বড় দায়িত্ব পান কি না তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । আইনুল হক জানিয়েছেন , দলে নতুন দায়িত্ব পেয়েছি । সকলকে নিয়ে ঐক‍্যবদ্ধভাবে দল যা নির্দেশ দেবে সেই অনুসারেই কাজ করবো । দলনেত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় , রাজ‍্য সভাপতি সুব্রত বক্সী , অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় , জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন , বর্তমানে উগ্ৰ সাম্প্রদায়িক একটা দল বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে । বিজেপি সাংবিধানিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলতে চাইছে । এর বিরুদ্ধেই সকলকে একসাথে লড়তে হবে । সামনেই নির্বাচন । সেই নির্বাচনে দলকে জয়ী করে ফের মুখ‍্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় কে প্রতিষ্ঠিত করার জন‍্য যথাযথ চেষ্টা করবো বলেও জানিয়েছেন আইনুল হক । তিনি এও বলেন , দল করি মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় কে দেখে । কারো সাথে কোনোদিন ব‍্যক্তিগত সংঘাত নেই আমার । এখন দলকে জেতানোই প্রধান ও একমাত্র লক্ষ‍্য ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।